নামকরণের বিভিন্ন মত রয়েছে। পূর্বে এই উপজেলার নাম ছিল লালবাজার থানা। পারস্যের বণিকেরা লালবাজার এলাকার সমৃদ্ধি দেখে পানসিভার শব্দ থেকেও পাঁচবিবি নাম করণ হতে পারে বলেও কিংবদন্তী রয়েছে। কেউ বলেছেন প্রাচীন জনপদ পঞ্চগৌড় এর রাজধানী ছিল পাঁচবিবি। পঞ্চগৌড় বিকৃত হয়ে পঞ্চগৌরীতে এবং পঞ্চগৌরী রূপান্তরিত হয়ে পঞ্চ হতে পাঁচ এবং গৌরী হতে বিবি অর্থাৎ পাঁচবিবি হয়েছে। একজন ঐতিহাসিক বলেছেন পাঞ্চাবিবি নামের একজন বৃদ্ধার জমিতে পাঁচবিবি রেলষ্ট্রেশন স্থাপিত হয়। ফলে রেলষ্ট্রেশনের নাম রাখা হয় পাঁচবিবি এবং সেখান থেকে পাঁচবিবি হয়েছে। নাম করণের ক্ষেত্রে বিতর্ক থাকলেও ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় আনুমানিক বাংলা ১১০০ সালে (১৭০০খ্রীঃ) বাগুড়ী (বর্তমান খাসবাগুড়ী) এলাকায় এক মুসলিম দরবেশ এর পর্যায়ক্রমে পাঁচ জন বিবি ছিলেন। তাঁরা প্রত্যেকে ধর্মপরায়ন, কামেল, ও শ্রদ্ধেয়া ছিলেন। পাঁচজন স্ত্রী মৃত্যুবরণ করলে খাসবাগুড়ী ছোট যমুনা এর তীরবর্তী স্থানে তাঁদের পাঁচটি মাজার স্থাপিত হয়। তাঁদের স্মৃতি ও সম্মানার্থে তখনএলাকাবাসী সে স্থানকে ‘পাঁচবিবি দরগাহ’ পরর্বতীতে ‘পাঁচবিবি’ নামে ডাকত। খাসবাগুড়ী স্থানটি এখনও পুরানো পাঁচবিবি নামে সমাধিক পরিচিত। নদীভাঙ্গনের কারণে ১৮৬৮ সালে ১৬ই মার্চ লালবাজার থানা সদর বেল-আমলার লালবাজার স্থান হতে পাঁচবিবি দরগায় তথা পাঁচবিবিতে স্থানান্তর করা হয়। তথন থেকে
এর নাম হয় পাঁচবিবি।