Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব

পাঁচবিবির প্রথম কৃষিবিদ ও কৃষি বিজ্ঞানী

 

নাম                               :           ড. মোহাম্মদ আব্দুল করিম

পিতার নাম                      :           মরহুম মোহাম্মদ আব্দুল গফুর (প্রাক্তন শিক্ষক)

স্থায়ী ঠিকানা                     :           গ্রাম- দমদমা; পাঁচবিবি পৌরসভা;

                                                থানা, ডাকঘর, ও উপজেলা- পাঁচবিবি

                                                জেলা- জয়পুরহাট।

শিক্ষাগত যোগ্যতা              :

(১) পাঁচবিবি লাল বিহারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৫৪ সালে একমাত্র প্রথম বিভাগ প্রাপ্ত ম্যাট্রিকুলেট।                          

(২) রাজশাহী সরকারি কলেজ থেকে ১৯৫৬ সালে আইএসসি পাশ।

(৩) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন শেরে-বাংলা কৃষি কলেজ, তেজগাঁ, ঢাকা থেকে ১৯৫৯ সালে বিএজি (ব্যাচেলর অব এগ্রিকালচার) ডিগ্রি লাভ।

(৪) কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অধীনে  চাকুরীরত অবস্থায় লেবাননের আমেরিকান ইউনিভারসিটি অব বৈরুত থেকে ১৯৭২  সালে কীটতত্ত্ব বিষয়ে  এম. এস. (মাষ্টার অব সায়েন্স) ডিগ্রি লাভ।

(৫)  বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনষ্টিটিউটে বিজ্ঞানী হিসাবে চাকুরীরত অবস্থায় আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের বাউলিং গ্রীন স্টেট  ইউনিভারসিটি থেকে ১৯৮৩ সালে  প্রাণী-পরিবেশ বিজ্ঞান গবেষণা বিষয়ে  পি্এইচ.ডি. (ডক্টর অব ফিলোসফি) ডিগ্রি লাভ।

(৬)  দেশ ও বিদেশের বহু কৃষি গবেষণা সংস্থা থেকে বিভিন্ন ফসলের চাষ ও সে সকল ফসলের অনিষ্টকর কীটপতঙ্গ ও মেরুদন্ডী প্রাণীসমূহের দমন ব্যবস্থাপনা বিষয়ে বিশেষজ্ঞ-প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত।

 

কর্মজীবন:

সুদীর্ঘ ৩৭ বছরের চাকুরী জীবনে (জানুয়ারি, ১৯৬০ থেকে আগষ্ট, ১৯৯৬) কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে প্রায় ১৫ বছরের সরকারী চাকুরীকালে কৃষি সম্প্রসারণ প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানসমূহে কৃষিতত্ত্ব বিষয়ক ইন্সট্রাকটর, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ও বিদেশে কীটতত্ত্ব বিষয়ে পড়াশুনা এবং গবেষণা, কৃষিতত্ত্বের ইন্সট্রাকটর পদে কর্মরত থাকা অবস্থায় কীটতত্ত্ব বিষয়ে এম. এস ডিগ্রি থাকায় কতৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে প্রথমে ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান ইক্ষু-কীটতত্ত্ববিদ পদে মোট ৫ (পাঁচ) বছর এবং পরবর্তীতে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের কীটতত্ত্ব বিভাগের প্রধান  ও মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পদে যোগদান করেন। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে কর্মরত অবস্থতায় পিএইচ.ডি. ডিগ্রী লাভ সহ  এই কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের চাকুরী থেকে পরিচালক (সেবা ও সরবরাহ) পদে পদোন্নতি প্রাপ্তির পর ০১-০৮-১৯৯৬ ইং তারিখে পূর্ণভাবে অবসরপ্রাপ্ত হন। অবসরপ্রাপ্তির পর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউনসিলের  অধিনস্ত বিভিন্ন প্রজেক্টে জাতীয় কোঅর্ডিনেটর অথবা কৃষি বিশেষজ্ঞ হিসাবে কাজ করেছেন।

কর্মপরিচয়:

ছাত্রাবস্থায় পঞ্চাশ ও ষাট এর দশকে একজন ভাল ছাত্র ও প্রশিক্ষক হওয়া ছাড়াও  পাঁচবিবি, শেরে-বাংলা কৃষি কলেজ (তেজগাঁ, ঢাকা) এবং সিলেট ও খুলনার কৃষি সম্প্রসারণ প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানসমূহে ক্রিকেট খেলা, নাটক ও যাবতীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসমূহের  প্রধান সংঘঠক ও মূল অংশগ্রহণ ছিল। কৃষি সম্প্রসারণ প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানসমূহে কৃষিতত্ত্ব বিষয়ক শ্রেষ্ঠ প্রশিক্ষকের স্বীকৃতি লাভ করে। ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান ইক্ষু-কীটতত্ত্ববিদ পদে এবং পরবর্তীতে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের কীটতত্ত্ব বিভাগের প্রধান  ও মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পদে প্রায় ২২ বছর একজন নেতৃস্থানীয় কৃষিবিজ্ঞানী হিসাবে দেশসেবার সূযোগ পেয়েছেন। ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউটের সূচনালগ্নের পাঁচ বছরে ঐ ইনস্টিটিউটটিকে ঠিক মত গড়ে তুলতে এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসাবে প্রশংসনীয় অবস্থানে নিয়ে যেতে সকল বিজ্ঞানীকে উদ্বুদ্ধ করতে নিবেদিতপ্রাণ কর্মী ও নেতার ভূমিকা পালন করেছেন।  পরবর্তীতে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের কীটতত্ত্ব বিভাগের প্রধান  ও মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পদে যোগদান করে একজন বাস্তব অভিজ্ঞতাসম্পন্ন, নিবেদিতপ্রাণ ও প্রবীণ কৃষি-কীটতত্ত্ববিদ এবং অনিষ্টকর মেরুদন্ডী প্রাণী নিয়ন্ত্রণ বিশেষজ্ঞ হিসাবে কীটতত্ত্ব বিভাগ ও অনিষ্টকর মেরুদন্ডী প্রাণী গবেষণা শাখার আধুনিকায়নে এবং আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা পরিচালনে সক্ষম  হন। এ কারণে ইপসায় (বর্তমান বঙ্গবন্ধু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সালনা, গাজীপুর) এম. এস. ও  পি্এইচ.ডি. কোর্সের ছাত্রদের কীটতত্ত্ব বিষয়ক কোর্সসমূহের পাঠদান করেনএবং ইপসা, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এম. এস. ও  পি্এইচ.ডি. কোর্সের ছাত্রদের কীটতত্ত্ব ও অনিষ্টকর মেরুদন্ডী প্রাণী গবেষণা বিষয়ে ’থিসিস’ সুপারভাইজার ছিলেন। জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক ’জার্নাল’ ও অন্যান্য প্রকাশনাসমূহে বাংলাদেশের বিভিন্ন ফসলের অনিষ্টকর কীটপতঙ্গ ও মেরুদন্ডী প্রাণীসমূহের ক্ষয়-ক্ষতি নিরুপন ও দমন ব্যবস্থাপনা বিষয়ে তাঁহার লেখা ৭২টি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। একজন সেরা কৃষি কীটতত্ত্ববিদ ও অনিষ্টকর মেরুদন্ডী প্রাণী নিয়ন্ত্রণ বিশেষজ্ঞ হিসাবে আর্ন্তজাতিক বিভিন্ন সংস্থা ও বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের সর্বোচ্চ সংস্থা ’বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন  ফর দ্য অ্যাডভান্সমেন্ট অব সায়েন্স’ কর্তৃক স্বীকৃতি লাভ এবং  বাংলাদেশ কীটতত্ত্ব  সমিতি থেকে স্বর্ণপদক লাভ করেন।

ভাষা সৈনিক মির শহীদ মন্ডল

জয়পুরহাটের পাঁচবিবির কৃতি সন্তান, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, ভাষা সৈনিক মির শহীদ মন্ডল ১৯৩২ সালের ২২ শে সেপ্টেম্বর তৎকালীন বগুড়া জেলা বর্তমান জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার বালিঘাটা ইউনিয়নের খাসবাগুরী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। ইতোপূর্বে তিনি জয়পুরহাট জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতিরও দায়িত্ব পালন করেছেন।

মির শহীদ মন্ডল শুধু জয়পুরহাট নয়, তিনি মৃত্যুর আগে পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের কৃষক মেহনতি মানুষের ন্যায় অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষে আজীবন সংগ্রম, আন্দোলন করে গেছেন।মিরশহীদ মন্ডল ছিলেন নিপীড়িত কৃষক মজুর মধ্যবিত্তসহ সাধারন মানুষের বিশ্বস্থ বন্ধু।ভাষা আন্দোলন ৬ দফা আন্দোলন সহ মুক্তিযুদ্ধে তার ভুমিকা ছিল উজ্জল।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১০ জুলাই বিকাল ০৪.৩০ ঘটিকায় বার্ধক্য জনিত কারণে ঢাকার সিএমএইচ-এ চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভাষা সৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর শহীদ মন্ডল ইন্তেকাল করেন।

 

 

ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব

    :

মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী

মরহুম আল্লামা হযরত মাওলানা এব্রাহীম মহববতপুরী

ডাঃ আব্দুল কাদের চৌধুরী